জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে চায়ের কদর রয়েছে। বিশেষ করে দুধ চা। বেশিরভাগ চাপ্রেমী দুধ চা ভালোবাসেন। অনেকে দিনে কয়েকবার চা পান করেন। তবে দুধ চা পান করার অভ্যাসকে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন অনেকেই। এই বিষয়টি বিস্তারিত উঠে এসেছে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে, যেখানে একজন পুষ্টিবিদ এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পুষ্টিবিদ প্রিয়া প্রতিবেদনটিতে শরীরে দুধ চায়ের প্রভাব নিয়ে জানান, প্রচলিত আছে যে দুধ চা খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। বিষয়টা নিয়ে চা প্রেমীদের ভাবনা না থাকলেও এটাই সত্যি যে দুধ চা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। সপ্তাহে দুই তিন বার খেলে সমস্যা নেই কিন্তু অনেকেই দিনে কয়েক দফা দুধ চা খান মূলত তাদের ঝুঁকি আছে।
চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। দুধ-চিনি ছাড়া রং চা খেলে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সম্পূর্ণ পায় শরীর। তবে যখন এতে চিনি, দুধ, কনডেন্স মিল্ক মেশানো হয়, তখন চায়ে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুধে থাকা কেজিন প্রোটিনের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়।
এতে চা তার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাগুন হারায় ও অন্যদিকে দুধ হারায় তার প্রোটিন গুণাগুন। এতে করে চা অ্যাসিডিক হয়। ফলে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন হয়। চিনি ও কনডেন্স মিল্ক যোগ করার মাধ্যমে ক্ষতিটা আরও বেশি হয়। দুধ চায়ের অতিরিক্ত ব্যবহার, বিশেষ করে চিনি ও ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকলে তা ওজন বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি ও দাঁতের সমস্যা বাড়ায়।
দুধ চা খেলে দেখা দিতে পারে- কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিদ্রা, পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা হওয়া, রক্তচাপ ওঠা নামার সমস্যা। এছাড়া, নিয়মিত দুধ চা পান করলে ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে। যারা বেশি দুধ চা পান করেন তাদের ব্রণ বা ফুসকুড়ির মতো বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।এমনকি, দুধ চায়ে কোনো পুষ্টি গুণাগুনও থাকে না।
যদি আপনার দুধ চা পানের অভ্যাস থাকে তাহলে এর পরিবর্তন আনতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন দুধ চা পান করা যেতে পারে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে দুধ চা এর বদলে ব্ল্যাক টি, আদা চা বা হারবাল চা পান করতে পারেন।। এছাড়াও ওজন কমাতে গ্রিন টি পানের অভ্যাস করতে পারেন।