বাত ব্যথায় অনেকেই নাজেহাল। কেউ কেউ বিভিন্ন টোটকা ও ঘরোয়া চিকিৎসা করে থাকেন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে। দেখা যায় সাময়িক স্বস্তি মিললেও কিছুক্ষণ পর ফের তীব্র হয়ে উঠে ব্যথা। এ অবস্থায় দীর্ঘসময় ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে থাকেন সবাই।
কেউ কেউ তো ব্যথায় ভেঙেই পড়েন। হঠাৎ হাঁটু-কোমরও কখনো কখনো বাত ব্যথায় তীব্র হয়ে উঠে। এ অবস্থায় বাত ব্যথা থেকে রক্ষায় ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন চিকিৎসক রুদ্রজিৎ পাল। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
সিঁড়ি দিয়ে বেশি না উঠা: ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আর্থ্রাইটিস রোগীরা সিঁড়ি দিয়ে বারবার উঠা-নামা করলে হাঁটু ও কোমরের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য যতটা সম্ভব সিঁড়ি উঠা-নামার কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে ব্যথা-যন্ত্রণা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে।
বেশি হাঁটা যাবে না: বাতের ভুক্তভোগীদের বেশি হাঁটাও নিষেধ। কারণ, বেশি হাঁটলে এর ব্যথা দীর্ঘসময়ের জন্য হতে পারে। এ জন্য যতটা সম্ভব অল্প পরিমাণ হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। সম্ভব হলে যাতায়াতের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা ভালো।
দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে না থাকা: কোনো কারণে কোথাও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। উৎসব-অনুষ্ঠানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা তীব্র হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য টানা দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক নয়। আবার টানা দীর্ঘসময় বসেও থাকা যাবে না। তাতেও সমস্যা তীব্র হতে পারে। বরং কিছুসময় পরপর উঠা-বসা করুন।
প্যারাসিটামলের বিকল্প নেই: কোনো উৎসব-অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় প্যারাসিটামল সঙ্গে রাখুন। ব্যথা তীব্র হলে একটা খেয়ে নিতে পারেন। এতে কিছু সময়ের জন্য পরিত্রাণ পাবেন। তবে প্যারাসিটামল ছাড়াও বাতের অন্যান্য ওষুধ রয়েছে। সেসব খেয়েও বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারেন। তাতে উপকার মিলবে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যখন-তখন বা একের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।
বরফ সেঁক নেয়া: কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে হঠাৎ হাঁটাহাঁটির ফলে বাতের ব্যথা হলে বরফের সেঁক নিতে পারেন। এতে ব্যথা কিছুটা কমবে। এরপরও যদি সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ নিয়মমত সেবন করুন। তাতেই সুফল পাবেন।