বক্স অফিস মাতাচ্ছে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা টু’। সিনেমাটির সফলতায় খুশি কলাকুশলীরা ঠিক সেই সময় গ্রেপ্তার হলেন ‘পুষ্পা’র মূল অভিনেতা আল্লু অর্জুন। হঠাৎ তার গ্রেপ্তারের খবরে হকচকিয়ে গেছেন তার ভক্তরা। গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেয়া হয়েছিল তাকে। তবে ১২ ঘণ্টা না পেরুতেই মুক্ত হয়ে এলেন আল্লু।
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আল্লু অর্জুন। এই ঘটনাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার(১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আল্লু অর্জুনকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন স্ত্রীর গালে চুমু দিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠেন আল্লু। তারপর বিকেলে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। একইদিন জামিন পেলেও, একরাত আল্লুকে থাকতে হল জেলে।
এবিপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আসতেই ঠান্ডা মেজাজে কথা বলেছেন আল্লু অর্জুন। আল্লু বললেন, এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি গত ২০ বছর ধরে এই থিয়েটারে আসছি এবং এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। যারা আমার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি সম্পূর্ণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করব। আল্লু অর্জুন আরও বলেন, যে পরিবার তাদের সদস্যকে হারিয়েছে, আমি তাদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই এবং যতটা সম্ভব তাদের সহায়তা করব।
প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দ্রাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ছিল ‘পুষ্পা টু’ প্রিমিয়ার শো। প্রিমিয়ার ঘিরে থিয়েটারের বাইরে ভিড় জমাতে থাকে দর্শকরা। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। সেই সময় উপস্থিত হন অভিনেতা আল্লু অর্জুন। তাকে সামনে থেকে দেখতে দর্শকের উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পদদলিত হয়ে আহত হন রেবতী ও তার ছেলে শ্রী তেজ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক রেবতীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহতের স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই ঘটনার ৮ দিন পর গ্রেপ্তার হন অভিনেতা।
এদিকে আল্লুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মৃতের স্বামী ভাস্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আমি। আমি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানতাম না। আর সেদিন পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে তার তো কোনও হাত নেই।